Thursday, October 5, 2017

[আমাদের গল্প] একজন চিকিৎসকের আত্মকথন

বাইরে অ্যাম্বুলেস্নের আওয়াজ হচ্ছে,ভিতরে অনেকেই চিৎকার কাঁদছে,আবার কেউ নিস্তব্ধ হয়ে লাশের দিকে তাকিয়ে আছে, আবার কেউবা গেছে কাপনের কাপড় কিনতে।ডেডবডি বিদায় করে কিভাবে সিট খালি করা ‌যায় তা নিয়ে আমি ব্যস্ত। অপর এক রুমে দেখলাম তাদের কর্তা মিষ্টি নিয়ে এসেছে।কেননা তাদের পরিবারে আগমন ঘটেছে নতুন প্রজন্মের।জন্ম নিয়েছে নতুন শিশু।একই যায়গায় ভিন্ন মানুষের ভিন্ন অনুভুতি ভিন্ন প্রতিচ্ছবি। কিন্তু এসব অনুভূতি আমাকে আকর্ষণ করেনা।অনেকেই মৃত মানুষ দেখলে ভয় পায়,কিন্তু আমি পাইনা।আমি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি পরিবেশের সাথে।সকাল সন্ধ্যা কত মানুষকে মরতে দেখেছি।আমার হাতের উপর মাথা রেখে মৃত্যুবরন করেছে অনেকে,কিংবা আমার হাতের কেঁচির আঘাতে,অপারেশন থিয়েটারে।সেসব মৃত্যুর জন্যও নিজেকে দায়ী মনে হয়না।কিছু মানুষ সামান্য রক্ত দেখলেই ভয় পায়,আমি শুধু রক্ত নয় একটি মানুষের ভিতরকার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখেছি।কখনওবা Post Mortem এর সময় কসাইয়ের মতো শরীর থেকে আলাদা করে নিয়ে নিয়েছি সেসব।কিন্তু  নিজের কাছে আমাকে কসাই মনে হয়না,আমি ভয়ও পাইনা।কারন আমি একজন ডাক্তার। নিজেকে এসবের সাথে মানিয়ে নিয়েছি।ডাক্তারদের কি তাহলে কোনো ভয় নেই?জানিনা। সেটা এখনো আমার অজানা।তবে আমি ভয় পেয়েছি সেদিন,যেদিন এক সুঠাম দেহের অধিকারী তাগড়া জোয়ানকে মরণ যন্ত্রনায় চিৎকার করতে দেখেছি।মরণ যন্ত্রনা কতো কঠিন সেটা যদিও জানিনা,কিন্তু সেদিন কিছুটা হলেও উপলব্ধি করেছি।সে ভয় আমার আজও করে,মরণের ভয়।পরকালের ভয়।একজন সুঠাম তাগড়া জোয়ানের যদি মৃত্যু এতো কঠিন হয়,তাহলে আমার মতো নাফরমান,পাপীর মৃত্যু‌ কেমন হবে?
ভাবায়,,,,,,,,,, সত্যিই ‌খুব ভাবায়,,,,,,।
,
কল্পিত ডায়েরী:একজন ডাক্তারের আত্নকথন
লেখক:ইসমাইল হোসেন(ভাবুক) 
বি.দ্র:আমি কোনো ডাক্তার নই,আর ডাক্তারের অনুভূতি সম্পর্কে আমার ভালো ধারনাও নেই। লেখাগুলো একান্তই আমার ভাবনা থেকে গৃহীত।তাই ভূলত্রুটি মার্জনীয়।
ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন আর শেয়ার করবেন।আমাকে ফলো করবেন।
ধন্যবাদ।
Share:

1 comment:

Search This Blog

Contact Form

Name

Email *

Message *

Followers