Monday, December 25, 2017

তবুও সে খুঁজছে- মাস্টার দ্যা নাঈম

রাতের বেশ্যা দশ মিনিটের জন্য অন্ধকার গলি কিংবা ওভারব্রিজে তার অভিজ্ঞ চোখে খুঁজছে একজন ক্রেতা -নিজের শরীর বিকেয়ে দু'মুঠো অন্ন যোগাবে বলে!খদ্দেরের অভাবে তার ভীষণ মন খারাপ হয়...ছটফট করে খুঁজতে থাকে এ গলি থেকে ও গলি।তবুও সে খুঁজছে...

বাবার কাঁধে বসে খাওয়া ছেলেটা বেকার শব্দ শুনতে শুনতে নিজের প্রতি এক তীব্র ঘৃণা নিয়ে দিকবেদিক ছুটছে একটা চাকরীর খোঁজে। পত্রিকার পাতায় পাতায় চাকরীর বিজ্ঞাপন অথচ ছেলেটার চাকরী হয়না।তবুও সে বেকার শব্দটার দ্বায়ভার থেকে মুক্তি চায়...!

চেহেরা কালো বলে পাত্র পক্ষ মুখ ফিরিয়ে নেওয়ায় যেই মেয়েটার রাতে ঘুম হয়না ;সেই মেয়েটা একটু সুন্দর হতে কতো চেষ্টাই না করেছিলো।অথচ মেয়েটার মন ছিলো অনেক ভালো।কে দেখে সেই ভালো?
ডিভোর্সি নারী জানে কেমন করে রাতের ভেজা বালিশ সকালে শুকাতে দিতে হয়।রোজ রোজ বুকের যন্ত্রনা চেপে সবার সাথে হাসতে হয়...তবুও সে একটু শুদ্ধহাসির খোঁজে দিশেহারা।সে একটা ভালো পুরুষের সান্নিধ্য চায়।কিন্তু আফসোস তার দিকে কেউ ভালোবাসার দৃষ্টি দিতে চায়না।যারা দৃষ্টি দেয়, তাদের চোখে সে দেখে কামুকতা লালসায় ভরা এক জোড়া পরকীয়ার চোখ।তবুও সে সুখী হতে চায়... যদি মনের রাজ্যে একটু সুখী হওয়া যায়।

মুক্তিচায় বিনা অপরাধে শাসকের জেলখানায় মিথ্যে মামলায় বন্দি হওয়া রাজনীতির কালো থাবায় অতিষ্ঠ জীবন।
ডিপ্রেশনে ভোগা ছেলেটাও খুঁজছে মুক্তির পথ!নিকোটিন পুড়িয়ে কলিজায় ক্ষত হয়েছে তবুও সে এই ঘোর থেকে বের হতে চায়...কিন্তু ছেলেটা অসহায়!

একটা ছেলেকে বিশ্বাস করে নিজের সবকিছু বিলিয়ে দিয়ে অতঃপর চরমভাবে ঠকে যাওয়া মেয়েটা মৃত্যুর কোল থেকে ফিরে এসেছে আরেকজোড়া বিশ্বস্ত হাত পাবে বলে!আরেকবার কাউকে বিশ্বাস করবে বলে।

ভালোবেসে প্রেমিকার নামে বুকের জমিন লিখে দিয়ে নিষ্ঠুর ভাবে পরাজিত হওয়া ছেলেটাও স্বপ্ন দেখে সানাই বাজিয়ে গ্রাম কাঁপিয়ে একদিন সে বিয়ে করবে তার চোখে সবচেয়ে সুন্দরী মেয়েটাকে।
বিশাল অট্টালিকার মধ্যে থেকেও মনের রাজ্যে অসুখী হয়ে ছটপট করছে নিতাই বাবুর সুন্দরী স্ত্রী পঞ্চমী রানী।এই যে তার টাকা পয়সা সব কিছুই রয়েছে তবুও তার কিসের যেন একটা অভাব,কিসের যেন একটা শুন্যতা!এই শূন্যতাবোধ পঞ্চমীকে গিলে খাচ্ছে ক্রমশ। মেয়েটা বুঝে গেছে মনের শান্তিই আসল।মেয়েটা ভালোবাসা খুঁজছে... খুঁজছে মনের শান্তি।
গ্রীষ্মের খাঁ খাঁ রোদ্দুরে ক্লান্ত পথিক আসবে... এক গ্লাস লেবুর শরবত খাবে এই আশায় শরবত নিয়ে বসে থাকা ছেলেটা আকাশে মেঘ দেখলে কেঁদে উঠে।সে রোদ চায়... প্রচুর রোদ...

মধ্যবিত্ত ঘরে জন্ম নেওয়া ছেলেটা মধ্যবিত্ত শব্দ থেকে বের হওয়ার পথ খুঁজছে। নিম্নবিত্ত ছেলেটা জানে নিম্নবিত্ত শব্দটা তার মাসতুত ভাই তবুও সে একটু ভালো থাকার পথ খুঁজছে।

মেধাবী গরীব ছাত্রটা খুঁজছে একটা টিউশনি, রাজপথ কাঁপানো ছেলেটা খুঁজছে তার যোগ্য পদ।সবাই খুঁজছে... খুঁজতে খুঁজতে দিশেহারা!

রোমান্টিক প্রেমিকযুগল চায় একটু বৃষ্টি নামুক,প্রেয়সীর হাত ধরে রাজপথ ভিজুক,ভিজুক যত গ্রাম পল্লী আর মাঠঘাট ।
মাথার উপর ছাউনি না থাকা কুসুমের মা -৩ বছরের কুসুমকে বুকে জড়িয়ে প্রভুর দরবারে হাত তোলে এই মেঘে যেন বৃষ্টি না হয় ।
ছাতাবিহীন ক্লান্ত পথিক খুঁজে ফিরে একটা ছায়াধর বটগাছ।
ডাকাত দল খুঁজছে বিদেশ ফেরত টাকাওয়ালা বাবুরামকে।ছিনতা
ইকারী খুঁজছে যাকে তাকে। এভাবেই চলছে খোঁজাখুঁজি...
লেখকেরা খুঁজে একটা বিশ্বস্ত প্রকাশক,নিঃস্বার্থ কিছু পাঠক!পাঠক খুঁজে ভালো কিছু বই...ভালো কিছু লেখক।
রাস্তার টোকাই খুঁজে একটা খালি বোতল,ফুসকা বিক্রেতা খুঁজে কিছু ফুসকাখাদক।

এভাবেই আমরা সবাই খুঁজছি...খুঁজতে খুঁজতে আমরা ক্লান্ত,বড্ড ক্লান্ত,তবুও আমরা খুঁজছি।আমাদের প্রত্যেকের জীবনটাই অপূর্ণতা দিয়ে ভরপুর, এভাবে অশান্তির দাবানল থেকে শান্তির পথে,আঁধার থেকে আলোর পথে,বন্দি থেকে মুক্তি চাইতে চাইতে একদিন অসীম শূন্যতায় পাড়ি দেব।
,
লেখক: মাস্টার দ্যা নাঈম

Share:

Tuesday, December 19, 2017

পথশিশুরাও মানুষ

অনিশ্চিত জীবনের দিকে তারা ছুটে চলছে অবিরাম। বহির্মুখী উন্মত্ততা তাদের তাড়িয়ে বেড়াচ্ছে প্রতিনিয়ত পথেঘাটে।
ব্যস্ত এই শহরে অসংখ্য মানুষের ছুটোছুটি। নিত্যপ্রয়োজনে গ্রাম থেকে লোকেরা পরিবার পরিজন নিয়ে এই শহরে পাড়ি জমায়। সৎ, অসৎ/নৈতিক, অনৈতিকতার সংমিংশ্রণেই বিচিত্র পৃথিবী। মানুষের ভেতর থেকে যখন মানুষ্যত্ববোধটুকু উঠে যায়, তখন, সে আর মানুষ থাকে না। সে হয়ে যায় মানুষরূপী পশু। আমাদের আশেপাশে অনেক লোকের সমাগম, সহবাস। সামাজিক দায়বদ্ধতা এড়িয়েও মানুষ বিভিন্ন উপায়ে ভিন্ন ভিন্ন অপকর্মে মত্ত।
পার্থিব জীবনে বেঁচে থাকার সবচেয়ে মৌলিক বিষয় হলো খাদ্য। একজন মানুষ যখন এই সুবিধাটুকু থেকে বঞ্চিত হয় ঠিক তখনি তার মাঝে অনৈতিকতার আক্রোশ জন্ম নেয়। আমার, আপনার মতো মানুষেরা যখন তাদের একবেলা খাবারের পরিবর্তে পেটে লাথি মেরে দিই, একটি রুটির পরিবর্তে তাদের মা-বাপ তোলে গালি দিই। ঘাড় ধাক্কা দিয়ে বের করে দিই নিজ আঙ্গিনা থেকে। একজন পাঁচ/ছয় বছরের শিশু যখন বাল্যকাল থেকে এসবের মুখোমুখি হয়, তখন, সে কোনদিকে যাবে? তার সামনে অনিশ্চিত জীবন। কোথায় যাবে সে? সে নিজেও জানে না। ছোটকাল থেকে মানুষের বকাঝকা আর লাথি গুতো খেয়েই তারা বড়ো হয়। এক পর্যায়ে তারাই দেশের জন্য বিরাট হুমকি হয়ে দাঁড়ায়। ছিন্তাই, অপহরণকারী, চুরিডাকাতি, খুনখারাবি তো তাদের মধ্য থেকেই তৈরি হয়। কিন্তু, একটা কথা থেকেই যায়। তাদের পরিচালনা বা দিকনির্দেশনাকারীরা অবশ্য মুখোশধারী কেউ।
ঢাকা শহরের অলিগলিতে, ফুটপাথের কিনারে, স্টেশন, বাস স্টপে। সবখানে তাদের আনাগোনা। ছোটছোট বাচ্চাদের যখন দেখি মানুষের কাছে হাত পাততে, তখন লজ্জায় মাথা নুইয়ে আসে।
ঘৃণায় গা রি রি করে ওঠে। এমন পরিস্থিতিতে তারা আসেনি, তাদের আনা হয়েছে। সমাজের মানুষরা তাদের আনতে বাধ্য করেছে! এমন অনাথ শিশুরা তো জন্মই নিয়েছে কোনো কুলাঙ্গার আর কুলাঙ্গিরিনীর মিলনে। আর তাদের দিয়ে ভিক্ষা করিয়ে দিনশেষে সব টাকা লুটে নিয়ে নেয় এক দল অপরাধচক্র। বিনিময়ে তাদের সামান্য আহার আর স্বল্প টাকা দেওয়া হয় হয়তো। গোপন সূত্রে জানা গেছে এই অপরাধচক্র বাহিনীরা গ্রাম অঞ্চল থেকে বা বিভিন্ন জায়গা থেকে বাচ্চাদের অপহরণ করে। অতঃপর সুযোগ বুঝে কোনো একসময়ে তাদের হাত পা ভেঙ্গে পঙ্গু বানিয়ে রাস্তায় ছেড়ে দেয় ভিক্ষাবৃত্তির জন্য।
মানুষ যেন আজ পশুর চেয়েও নিকৃষ্ট হয়ে গেছে। ছোটোছোটো বাচ্চারা এহেন ঘৃণ্য কাজের সাথে সম্পৃক্ত হয়ে ভবিষ্যতে মানুষের মানিব্যাগ নিয়ে দৌড়ে পালায়। বড়ো বড়ো সন্ত্রাস তো তারাই হয়। এখানে যদি আমরা বলি তারা দেশের জন্য হুমকি। তাহলে, আমিও বাহ্যিক দৃষ্টিকোণ থেকে বলব হ্যাঁ, কিন্তু, দেশকে এই হুমকি থেকে বাঁচাতে হলে তো তাদের মারধর বা জেল হাজতে ঢুকিয়ে লাভ নেই। প্রথমে তাদের দিকনির্দেশনাকার
ী মুখোশধারী লোকদের খুঁজে বের করে তাদের আইনের হাতে সোপর্দ করে দেওয়া উচিৎ। কিন্তু, কিছু বিষয় আমাকে ভিষণভাবে ভাবিয়ে তোলে। জেল হাজতে ঢুকালেই যে তারা বড়ো কোনো পীর আউলিয়া হয়ে বেরুবে সেটা কিন্তু প্রশ্নবোধক থেকেই যায়!
তবে, আমরা চেষ্টা তো করে দেখতে পারি!
আমরা যুবকরাই তো ভবিষ্যতে এদেশ পরিচালনা করব। আমাদের সুস্থ চিন্তাভাবনা দ্বারাই আমরা দেশকে সামনে এগিয়ে নিতে সক্ষম হব। কিন্তু, আমাদের মাঝে যদি সুস্থ চিন্তাভাবনা ছাড়া ভালো কাজের প্রতি উদ্বুদ্ধ না হয়ে বরং যারা একাজের প্রতি উৎসাহী তাদের হেয় প্রতিপন্ন করি, তাহলে তো আমরা নিজেরাই অসচেতন। আর অসচেতন ব্যক্তি যদি লোকসম্মুখে বগল বাজিয়ে বলে বেড়ায় আমি একজন সচেতন ব্যক্তি! তাহলে, এমন ব্যক্তি মহোদয়দের কি করা উচিৎ সেটা পাঠক-ই বিবেচনা করবেন।
এবার মূল কথায় আসা যাক!
আমরা এমন কয়েকজন পথশিশুদের চিনি যারা প্রতিদিন রুটিন মাফিক এলাকা ভিত্তিক বা শহরের অলিগলি অথবা বাস, পার্কে কালেকশন করে থাকে। ছোট্ট একটি কাগজে লিপিবদ্ধ করা থাকে যে, আমার নাম মালা, আমার আব্বুর ক্যান্সারজনিত রোগের কারণে হাসপাতালে শয্যাশয়ী। আপনাদের একান্ত আর্থিক সহায়তা কাম্য। ছোট্ট একটা কাগজে লেখা থাকে এরুপ। একবার এক ছোট্ট বাচ্চাকে জিজ্ঞেস করা হয় তোমার আব্বু কোন হসপিটালে ভর্তি! এমন বিস্ময়কর প্রশ্ন শুনার জন্য মনে হয় তারা একেবারেই অপ্রস্তুত! কপাল কুঁচকে উত্তর না দিয়েই দৃষ্টির আড়ালে চলে যায়।
তার মানে অবশ্যই এটি কারো দিকনির্দেশনায় করছে তারা। নাহয়, মানুষের প্রশ্নে তারা আড়াল হয় কেন? কারো জিজ্ঞাসায় বিস্মিত হয় কেন?
এসমস্ত শিশুদের এই অপরাধচক্রগুলো থেকে বের করতে হবে।
তাদের সুশিক্ষায় সঠিক দিকনির্দেশনায় আগামীর পথচলাকে সুদৃঢ় করতে হবে। কিন্তু, তাদের এই দায়িত্ব বহন করবে কারা? যারা দারিদ্রতার কারণে নিজ সন্তানদের রাস্তায় নামিয়ে দেয়। তাদের কী করবেন?
আমরা তরুণরাই একাজে এক পা এগিয়ে যাব ইনশাআল্লাহ। যারা ক্ষুধার তাড়নায় মানুষরূপী পশুদের গোলামি করে প্রতিনিয়ত। যারা এমন ঘৃণ্যকাজে হতদরিদ্র পথশিশুদের কাজে লাগিয়ে নিজেদের ফায়দা লুটে নিচ্ছে। আমরা তাদের বিরুদ্ধে প্রশাসনিক সহায়তা নিব। তাদের আইনের কাঠগড়ায় দাঁড় করাব।
আর যেসমস্ত দরিদ্র পরিবারেরা তাদের অক্ষমতার বিপরীতে নিজেদের সন্তাদের রাস্তায় নামিয়ে দিচ্ছে অযাচিত। আমরা তাদের কাছে যাব, কথা বলব। সামর্থ্যানুযায়ী তাদের সন্তান এবং পরিবারে আর্থিক সহায়তা করব। সন্তানদের স্কুল বা মাদ্রাসায় ভর্তি করিয়ে দিব।
কিন্তু, তরুণরা অনেক কিছু করার ইচ্ছে করলেও অর্থের জন্য তাদের মহৎ কাজগুলোকে নিয়ে সম্মুখ পানে এগিয়ে যেতে পারেনা। এহেন পরিস্থিতিতে, সমাজের বিত্তবান, প্রভাবশালী, রাজনীতিবিদ, এবং সর্বপ্রকার মানুষদের এগিয়ে আসতে হবে। আর্থিক সহায়তায় এগিয়ে আসতে হবে স্বতঃস্ফূর্ত।
বিত্তবান বা সমাজের উঁচুপর্যায়ের লোকদের নিকট আমার আবেদন।
হে প্রিয় সমাজপ্রগতিরা! আপনারা ঘরে বসে নেতৃত্ব দিন। আমরা মাঠেঘাটে কাজ করব দেশের জন্য, দেশের মানুষের জন্য। দেশের আগামী হুমকির মুখ থেকে দেশকে রক্ষা করব আমরা তরুণরা।

Share:

Tuesday, October 10, 2017

[কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খন্ড-অধ্যায় ১]প্রথম প্রোগ্রাম

আজকের টিপসে  আপনাদের স্বাগতম।
আজ আমি আপনাদের মাঝে শেয়ার করবো প্রোগ্রামিং এর সমস্যা সমাধানের উপায়।তবে উল্লেখ্য যে লেখাগুলো আমার না, লেখাগুলো তামিম শাহরিয়ার সুবিনের "কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খন্ড" থেকে সংগৃহীত।আমি বইটির প্রথম অধ্যায় থেকে শেষ পর্যন্ত শেয়ার করবো।যদি আপনাদের উপকারে লাগে তাহলে অবশ্যই জানাবেন আর না লাগলে বলবেন আমি পোস্ট ডিলিট করে এই সম্পর্কে পোস্ট করবো না।

[প্রোগ্রামিং বইঃ অধ্যায় এক] প্রথম প্রোগ্রাম।


প্রোগ্রামিংয়ের জগতে স্বাগতম!
আমরা এখন একটি প্রোগ্রাম লিখে ফেলব, যেটি তোমার কম্পিউটারের স্ক্রিনে Hello World দেখাবে বা প্রিন্ট করবে। এটি হচ্ছে প্রোগ্রামিংয়ের একটি ঐতিহ্য। পৃথিবীর অধিকাংশ প্রোগ্রামারই জীবনের প্রথম প্রোগ্রাম হিসেবে এটি লেখে। আমি এই বইয়ের প্রোগ্রামগুলো চালানোর জন্য Codeblocks ব্যবহার করব। তবে তোমরা অন্য কিছু ব্যবহার করলেও কোনো সমস্যা নেই, সবগুলোতে কাজের ধারা মোটামুটি একই রকম। কম্পিউটারে কোডব্লকস ইনস্টল করে ফেলো।
ইনস্টল হয়ে গেল। এখন উইন্ডোজের Start মেনুতে Programs-এ গিয়ে Codeblocks চালু করো। উবুন্টুতে এটি থাকবে Applications > Programming-এর ভেতর।
এখন তোমরা প্রোগ্রামগুলো রাখার জন্য হার্ডডিস্কের ভেতর একটি ফোল্ডার তৈরি করে নাও। ওই ফোল্ডারে ফাইলগুলো সেভ (Save)করবে। ফাইলের যেকোনো একটি নাম দাও। আর Save as type হবে C/C++ files।
এখন আমরা আমাদের কোড বা প্রোগ্রাম লিখব। নিচের কোডটি টাইপ করে ফেলো এবং ফাইলটি সেভ করো।
#include <stdio.h>
int main ()
{
    printf("Hello World");
    return 0;
}
তোমরা হয়তো চিন্তা করছ, আমি এই হিজিবিজি কী লিখলাম? আস্তে ধীরে সব ব্যাখ্যা করব, চিন্তা নেই! আপাতত আমার কথামতো কাজ করে যাও। এবার Build মেনুতে গিয়ে Compile Current File-এ ক্লিক করো।
তুমি যদি প্রোগ্রামটি ঠিকভাবে টাইপ করে থাকো তবে কম্পাইলার তোমাকে বলবে যে 0 errors, 0 warnings, মানে - প্রোগ্রামে syntax ঠিক আছে।
এখন আবার Build মেনুতে গিয়ে Run-এ ক্লিক করো। তাহলে তোমার প্রোগ্রাম চালু হয়ে যাবে।
এখানে দেখো, তোমার প্রোগ্রামটি স্ক্রিনে Hello World প্রিন্ট করেছে। পরের লাইনে বলা আছে Process returned 0 (0x0) (এটির অর্থ নিয়ে আমাদের এখন মাথা না ঘামালেও চলবে) আর execution time : 0.031 s মানে প্রোগ্রামটি চলতে 0.031 সেকেন্ড সময় লেগেছে। তারপরের লাইন হচ্ছে, Press any key to continue. কি-বোর্ডে Any key খুঁজে না পেলে অন্য যেকোনো কি চাপলেই চলবে।
তুমি যদি প্রোগ্রামটি ঠিকঠাকভাবে রান করাতে পারো এবং Hello World লেখাটা দেখে থাকো তাহলে তোমাকে অভিনন্দন। তুমি বেশ গুরুত্বপূর্ণ একটি কাজ করে ফেলেছ।
আর ঠিকঠাকভাবে রান করাতে না পারলে আবার শুরু থেকে চেষ্টা করো। প্রয়োজনে অভিজ্ঞ কারও সাহায্য নাও। কারণ এই প্রোগ্রাম না চালাতে পারলে বইয়ের পরের অংশ পড়ে তেমন একটি লাভ হবে না।
এবারে দেখা যাক আমি কী লিখেছি কোডে।
প্রথম লাইন ছিল: #include <stdio.h>, এটি কেন লিখেছি একটু পরে বলছি।
দ্বিতীয় লাইন ফাঁকা। দেখতে সুন্দর লাগে তাই।
তৃতীয় লাইন: int main()। এটিকে বলে মেইন ফাংশন। সি প্রোগ্রামগুলো মেইন ফাংশন থেকে কাজ করা শুরু করে, তাই সব প্রোগ্রামে একটি (এবং কেবল একটি) মেইন ফাংশন থাকতে হয়। মেইন ফাংশনের শুরুতে দ্বিতীয় বন্ধনী দিয়ে শুরু করতে হয় আর শেষও করতে হয় একটি দ্বিতীয় বন্ধনী দিয়ে। শেষ করার আগে আমি return 0; লিখেছি, সেটি কেন এখন ব্যাখ্যা না করলেই ভালো হয়, ফাংশন নিয়ে যখন আলাপ করব তখন বলব। তাই আপাতত তোমরা যেকোনো প্রোগ্রামে নিচের অংশটুকু লিখে ফেলবে:
int main()
{
    এখানে কোড থাকবে।
    return 0;
}
প্রোগ্রামের পরের লাইন খেয়াল করো: printf("Hello World"); এটি একটি স্টেটমেন্ট। এখানে printf() হচ্ছে একটি ফাংশন যার কাজ হচ্ছে স্ক্রিনে কিছু প্রিন্ট করা। ডবল কোটেশন চিহ্নের ভেতরে যা লিখবে তা-ই স্ক্রিনে সে প্রিন্ট করবে। এই ফাংশনটি স্ক্রিনে প্রিন্ট করে কীভাবে সেটি আসলে বলা আছে stdio.h নামে একটি ফাইলে। এই ফাইলগুলোকে বলে হেডার (header) ফাইল (.h হচ্ছে হেডার ফাইলের এক্সটেনশন)। stdio.h ফাইলে স্ট্যান্ডার্ড ইনপুট আর আউটপুট-সংক্রান্ত যাবতীয় ফাংশন লেখা আছে, আমরা কেবল সেগুলো ব্যবহার করব, ফাংশনগুলো কীভাবে কাজ করে সেটি এখন আমাদের জানার দরকার নেই। আর যেহেতু printf() ফাংশন ব্যবহার করেছি, তাই প্রোগ্রামের শুরুতে #include <stdio.h> লিখতে হয়েছে। এই রকম আরও অনেক প্রয়োজনীয় হেডার ফাইল আছে, যার কিছু আমরা পরবর্তী সময়ে কাজের প্রয়োজনে দেখব।
এখন একটি ব্যাপার খেয়াল করো। printf("Hello World");-এর শেষে একটি সেমিকোলন রয়েছে। সি ল্যাঙ্গুয়েজে প্রতিটি স্টেটমেন্টের পরেই একটি সেমিকোলন থাকে। একটি স্টেটমেন্টের কাজ শেষ হলে পরের স্টেটমেন্টের কাজ শুরু হয়। return 0;ও একটি স্টেটমেন্ট, তাই এটিও সেমিকোলন দিয়ে শেষ করতে হয়েছে। শুরুর দিকে অনেকেই সেমিকোলন দিতে ভুলে যায়, তখন কম্পাইল এরর (compile error) হয়। তোমরা একটি সেমিকোলন মুছে দিয়ে কম্পাইল করার চেষ্টা করে দেখতে পারো।
এবারে একটি খুব গুরুত্বপূর্ণ কথা বলে রাখি। তোমরা কোডটি খেয়াল করলে দেখবে যে আমি #include <stdio.h>, int main(), { ও } যেই লাইনে আছে সেটি এডিটরের একেবারে বাঁ দিক থেকে শুরু করেছি। আর printf এবং return 0-এর আগে চারটি স্পেস (ফাঁকা জায়গা) দিয়ে নিয়েছি। এটিকে বলে ইনডেন্টেশন (Indentation)। এরকম না করলেও প্রোগ্রামটি চলত এবং তাই অনেকেই ইন্ডেন্টেশনের ব্যাপারটি গুরুত্ব দেয় না এবং ঠিকমতো ইনডেন্টেশন করে না। যেকোনো ভালো অভ্যাসের মতো ইন্ডেন্টেশনের অভ্যাস তৈরি করাটা একটু কঠিন, তবে বিষয়টা কিন্তু দাঁত মাজার মতোই গুরুত্বপূর্ণ। ইনডেন্টেশন করার অভ্যাস ঠিকমতো তৈরি না হলে প্রোগ্রামারদের সহকর্মী বা বসের বকা শুনতে হয়, অনেক জায়গায় তো ইন্টারভিউতেই বাদ পড়ে যেতে হয়। আশা করছি তোমরা ব্যাপারটি বেশ গুরুত্ব সহকারে নেবে। আমি বইয়ের সমস্ত উদাহরণেই যথাযথভাবে ইনডেন্টেশন করার চেষ্টা করব তবে ছাপার সময় একটু এদিক-ওদিক হতে পারে, সেটি তোমরা বুঝে নেবে। ইন্ডেন্টশনের জন্য সাধারণত চারটি স্পেস দেওয়াটাই এখন স্ট্যান্ডার্ড। তোমরা এডিটরে অপশন সেট করতে পারো যাতে ট্যাব (Tab) চাপলে সেটি চারটি স্পেসের সমান হয়। Codeblocks-এ Settings মেনুতে Editor-এ ক্লিক করে TAB Options-এ TAB indents চেক করো এবং TAB size in spaces 4 দাও।
এবারে তোমাদের জন্য একটি কাজ। একটি প্রোগ্রাম লেখো যেটি স্ক্রিনে প্রিন্ট করবে: I love my country, Bangladesh।
প্রোগ্রামটি টাইপ করার পরে অবশ্যই কম্পাইল ও রান করবে। কম্পাইল করার আগে সেভ করতে ভুলবে না।
বই- কম্পিউটার প্রোগ্রামিং ১ম খন্ড
লেখক- তামিম শাহরিয়ার সুবিন
না বুঝলে: ফেসবুকে আমি
Share:

Thursday, October 5, 2017

[আমাদের গল্প] একজন চিকিৎসকের আত্মকথন

বাইরে অ্যাম্বুলেস্নের আওয়াজ হচ্ছে,ভিতরে অনেকেই চিৎকার কাঁদছে,আবার কেউ নিস্তব্ধ হয়ে লাশের দিকে তাকিয়ে আছে, আবার কেউবা গেছে কাপনের কাপড় কিনতে।ডেডবডি বিদায় করে কিভাবে সিট খালি করা ‌যায় তা নিয়ে আমি ব্যস্ত। অপর এক রুমে দেখলাম তাদের কর্তা মিষ্টি নিয়ে এসেছে।কেননা তাদের পরিবারে আগমন ঘটেছে নতুন প্রজন্মের।জন্ম নিয়েছে নতুন শিশু।একই যায়গায় ভিন্ন মানুষের ভিন্ন অনুভুতি ভিন্ন প্রতিচ্ছবি। কিন্তু এসব অনুভূতি আমাকে আকর্ষণ করেনা।অনেকেই মৃত মানুষ দেখলে ভয় পায়,কিন্তু আমি পাইনা।আমি নিজেকে মানিয়ে নিয়েছি পরিবেশের সাথে।সকাল সন্ধ্যা কত মানুষকে মরতে দেখেছি।আমার হাতের উপর মাথা রেখে মৃত্যুবরন করেছে অনেকে,কিংবা আমার হাতের কেঁচির আঘাতে,অপারেশন থিয়েটারে।সেসব মৃত্যুর জন্যও নিজেকে দায়ী মনে হয়না।কিছু মানুষ সামান্য রক্ত দেখলেই ভয় পায়,আমি শুধু রক্ত নয় একটি মানুষের ভিতরকার সব অঙ্গপ্রত্যঙ্গ দেখেছি।কখনওবা Post Mortem এর সময় কসাইয়ের মতো শরীর থেকে আলাদা করে নিয়ে নিয়েছি সেসব।কিন্তু  নিজের কাছে আমাকে কসাই মনে হয়না,আমি ভয়ও পাইনা।কারন আমি একজন ডাক্তার। নিজেকে এসবের সাথে মানিয়ে নিয়েছি।ডাক্তারদের কি তাহলে কোনো ভয় নেই?জানিনা। সেটা এখনো আমার অজানা।তবে আমি ভয় পেয়েছি সেদিন,যেদিন এক সুঠাম দেহের অধিকারী তাগড়া জোয়ানকে মরণ যন্ত্রনায় চিৎকার করতে দেখেছি।মরণ যন্ত্রনা কতো কঠিন সেটা যদিও জানিনা,কিন্তু সেদিন কিছুটা হলেও উপলব্ধি করেছি।সে ভয় আমার আজও করে,মরণের ভয়।পরকালের ভয়।একজন সুঠাম তাগড়া জোয়ানের যদি মৃত্যু এতো কঠিন হয়,তাহলে আমার মতো নাফরমান,পাপীর মৃত্যু‌ কেমন হবে?
ভাবায়,,,,,,,,,, সত্যিই ‌খুব ভাবায়,,,,,,।
,
কল্পিত ডায়েরী:একজন ডাক্তারের আত্নকথন
লেখক:ইসমাইল হোসেন(ভাবুক) 
বি.দ্র:আমি কোনো ডাক্তার নই,আর ডাক্তারের অনুভূতি সম্পর্কে আমার ভালো ধারনাও নেই। লেখাগুলো একান্তই আমার ভাবনা থেকে গৃহীত।তাই ভূলত্রুটি মার্জনীয়।
ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট করবেন আর শেয়ার করবেন।আমাকে ফলো করবেন।
ধন্যবাদ।
Share:

Tuesday, October 3, 2017

[আমাদের গল্প] একটি নতুন সকাল

প্রতিটি সকাল মানে আামদের জন্য নিজেকে বদলে নেওয়া নতুন সুযোগ। আমরা সুযোগ টাকে কতটুকু কাজে লাগাতে পারি তা লেখক তার লেখনিতে ফুটিয়ে তুলেছে।নিচে লেখাটুকু দেওয়া হলো।
এই যে সকাল হল। রাতভর স্বপ্ন দেখা মানুষ গুলো চোখ মুখ ধুয়েই এক একজন মিলিটারি হতে শুরু করবে। সারারাত যে রাস্তার মাঝখানটায় দাড়িয়ে নাইট গার্ড বাঁশি বাজালেন একটু পর সেখানেটায় ট্রাফিক সার্জেন্ট এসে সিগন্যাল দিবেন, ছোট খাটো জ্যাম লেগে যাবে।
বাচ্চারা ঘুম থেকে উঠেই বিশ্ব জয় করতে পাঠশালার উদ্দেশ্যে বের হয়ে পড়েছে; শহরের সব ঘুষখোরেরা একটু পরই নাস্তা খেতে খেতে সন্তানকে দু একটা উপদেশ দিয়ে ঘুষ খেতে বের হয়ে পড়বে। হতাশা যন্ত্রণায় যে বেকার ছোকরা রাতে এক ফোটাও ঘুমাতে পারেনি সেও হয়ত বের হয়ে পড়েছে ইন্টার্ভিউ দিতে। দু কদম গিয়ে আবার হয়ত বাবার সামনে মাথা নিচু করে দাড়াবে, যাবার ভাড়াটা যে নেই।
সকাল হয়ে গেল। নতুন নতুন প্রেম করা ছেলে মেয়ে গুলো সেই যে রাত থেকে কথা শুরু করেছে ; মাত্র ফোন রেখেছে। কেউ হয়ত সারারাত কাউকে ওয়েটিং এ পেয়ে কষ্টের গান গুলো প্লে লিস্টে দিয়ে বাতি বন্ধ না করেই আধ শোয়া অবস্থায় ঘুমিয়ে পড়েছে।
সারারাত যন্ত্রণায় ছটফট করা রোগীর জীবনে এটাই শেষ সকাল। আদরের মেয়েকে চুমো খেয়ে যে পুলিশ অফিসার বাসা থেকে বের হবেন, তিনিই ঘণ্টা দুয়েক পর চাঁদা না পেয়ে ফুটপাতের তরকারী ওয়ালাকে লাথি মেরে বিনা মূল্যে দুটা ফুলকপি পলিথিনে করে বাসায় নিয়ে আসবেন।
আজ সকালে ঘুম থেকে উঠার পর পরই কারো মনে পড়ে যাবে গতকাল রাতে বাবা মারা গেছে ! কিছুক্ষণ পুরো ব্যাপারটাকে স্বপ্ন ভাবার চেষ্টা করে আবার হয়ত ঘুমাবার চেষ্টা করবে ! নিজেকে বোঝাবে - এবার হয়ত ঘুম থেকে উঠে দেখবে , বাবা আসলে মরে নি !!
যে শুয়োরের বাচ্চাটা আজ মাগরিবের নামাযের পর কাউকে ধর্ষণ করবে সে হয়ত এখনো কাঁথা গায়ে দিয়ে ঘুমোচ্ছে। টেবিলে খাবার সাজিয়ে তার মা কপালে হাত বুলিয়ে দিচ্ছে- বেলা হয়েছে; ঘুম থেকে উঠো !
লেখক- জুনায়েদ ইভান
বি দ্র: লেখাটুকু ভালো লাগলে অবশ্যই কমেন্ট ও শেয়ার করবেন। ভালো থাকবেন।
কোনো প্রয়োজনে যোগাযোগ করুন: ইসমাইল হোসেন
Share:

Sunday, October 1, 2017

[গানের কথা] রঙ্গিন এই পৃথিবী-কলরব

গানের দুনিয়াতে আপনাকে স্বাগতম
Song Name: রঙ্গিন এই পৃথিবী
Song Cast: কলরব শিল্পীগোষ্ঠী.

রঙ্গিন এই পৃথিবী ছাড়িতে হইবে
সাধের এই দেহ মাটিতে খাইবে।
শূন্য হবে জিন্দেগানী,,,
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি রে মন..
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি ?
রঙ্গিন এই পৃথিবী ছাড়িতে হইবে
সাধের এই দেহ মাটিতে খাইবে।
শূন্য হবে জিন্দেগানী
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি রে মন.
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি ?
সন্ধ্যা হলে ডুবিবে বেলা
সাঙ্গ হবে ভবেরই মেলা।
কেউ বা দিবে আখেরী গোসল।
কেউ বা আনবে আতরদানি.......
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি রে মন...
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি ?
রঙ্গিন এই পৃথিবী ছাড়িতে হইবে
সাধের এই দেহ মাটিতে খাইবে।
শূন্য হবে জিন্দেগানী
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি রে মন......
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি ?
কত আশার বাসা তোমার
নিমিষেতে হবে চুরমার।
কেউ বা ডাকবে মা মা করে।
সাড়া তো দিবে না জননী
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি রে মন....
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি ?।
রঙ্গিন এই পৃথিবী ছাড়িতে হইবে
সাধের এই দেহ মাটিতে খাইবে।।
শূন্য হবে জিন্দেগানী
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি রে মন..
কার লাগিয়া এতো মায়া,
এতো চোখের পানি ?
Collected By:Ornob Blog
Share:

Latest Posts

Search This Blog

Contact Form

Name

Email *

Message *

Followers